Sunday, January 9, 2011

বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো তৈরি করলেন উড়াল যান্ত্রিক প্রজাপতি

বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো তৈরি করলেন উড়াল যান্ত্রিক প্রজাপতি -ফিরোজ খান

মানুষ বর্তমানে প্রযুক্তির দিক দিয়ে অনেক বেশি এগিয়ে গেছে। বিজ্ঞানী তথা প্রযুক্তিবিদরা এখন এমন কৃত্রিম বা যান্ত্রিক জিনিস তৈরি বা আবিষ্কার করছেন যা অনেক সময় প্রাকৃতিক বলেই মনে হয় মানুষের কাছে। বিজ্ঞানীরা এবার প্রথমবারের মতো আবিষ্কার করলেন যান্ত্রিক প্রজাপতি, যা জীবন্ত প্রজাপতির মতোই উড়তে পারে। জানা গেছে, এটি তৈরি করেছেন হার্ভার্ড ও টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা।
যান্ত্রিক বা কৃত্রিম এ প্রজাপতি তৈরি করা হয়েছে ‘সোয়ালোটেইল' প্রজাপতির অনুকরণে। এর শক্তির উৎস একটি মাত্র ইলাস্টিক ব্যান্ড। এ ইলাস্টিক ব্যান্ড থেকে শক্তি নিয়ে জীবন্ত প্রজাপতির মতো ডানা ঝাপটে উড়ে বেড়ায়। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোরোবোটিক্স বিজ্ঞানী হিরোটো তানাকা বলেন, আমাদের জানা মতে পৃথিবীতে এটিই প্রথম মুক্তভাবে উড়তে সক্ষম যান্ত্রিক প্রজাপতি। উড়তে থাকলে অনেকেই এটিকে আসল বা জীবন্ত প্রজাপতি মনে করেন। অর্থাৎ এটি এমনই নিখুঁত ও আধুনিকভাবে তৈরি করা হয়েছে। এটি তৈরি করতে এক সঙ্গে কাজ করেছেন হিরোটো তানাকা ও টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসাও শিমুয়ানা। তানাকা আরও বলেন, আমরা এ যান্ত্রিক প্রজাপতিটিকে একটি আসল প্রজাপতির মতো ওড়ার ক্ষমতা দিতে সক্ষম হয়েছি। এটির ডানা ঝাপটানোর গতি, ওড়ার ধরন, ডানার আকৃতি ইত্যাদি একটি আসল সোয়ালোটেইল প্রজাপতির মতো। গবেষকরা জানিয়েছেন, এ যান্ত্রিক প্রজাপতিটি তৈরির মূল লক্ষ্য হলো একটি আসল বা জীবন্ত প্রজাপতির উড়বার পদ্ধতিটি আরও বেশি বা ভালোভাবে বুঝতে পারা। এ প্রজাপতিটি তৈরির সময় তারা বুঝতে পারেন যে, যান্ত্রিক প্রজাপতিটির ডানায় আসল প্রজাপতির ন্যায় যান্ত্রিক ধমনী স্থাপন করায় এটির ওড়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এটিকে কিভাবে আরও আধুনিক করা যায় সেই বিষয় নিয়েও তারা ভাবছেন। শিশুদের কাছে এটি বেশ মজার খবর।

Source: Daily Sangram.

Friday, January 7, 2011

প্রজাপতির দেশে

Wednesday, January 5, 2011

প্রজাপতির রং

প্রজাপতির রং মৃত্যুঞ্জয় রায় এই সুন্দর পৃথিবীতে প্রজাপতি যেন উড়ন্ত ফুল। বাহারি সব ফুলের মতোই ওদের রং-বেরঙের পাখা। রঙিন পাখা মেলে ওরা হাওয়ায় ভাসতে থাকে, ফুলে বসে। প্রজাপতিরা এমন রঙিন পাখা কোথায় পেল বলো তো? ওদের পাখা এ যুগে শুধু তোমাদেরই মুগ্ধ করে না, আজ থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার বছর আগেও মিসরের লোকদের মুগ্ধ করত। তাই তো তাদের আদি হরফের আঁকিবুঁকিতে সেই প্রাচীন যুগেও তারা প্রজাপতির ছবি আঁকত, সংকেত হিসেবে প্রজাপতি দিয়েই তারা বুঝে নিত অনেক কিছু। সেকালে প্রজাপতির ওই রঙিন পাখার রহস্য তারা বুঝত না। এ যুগের বিজ্ঞানীরা কিন্তু ঠিকই সে রহস্য খুঁজে পেয়েছেন, বের করেছেন প্রজাপতির রংরহস্য।
গোঁফ দেখে যেমন শিকারি বিড়াল চেনা যায়, তেমনি রং দিয়েই চেনা যায় প্রজাপতি। একেক প্রজাপতির একেক রং। রং মানে পাখায় পাখায় নানা রঙের নকশা। এক জাতের সঙ্গে অন্য জাতের প্রজাপতির রং ও নকশা কখনোই মেলে না, এমনকি একই প্রজাপতির পুরুষ ও স্ত্রী প্রজাপতির রঙের মধ্যেও কিছুটা পার্থক্য থাকে। তা না হলে তো স্ত্রী ও পুরুষ চেনাই মুশকিল হয়ে যেত।
তবে প্রজাপতিদের রঙের দরকার আছে। প্রজাপতিদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয় ওই রং দিয়েই। রং দিয়েই একই প্রজাতির প্রজাপতিরা একে অপরকে চিনতে পারে। এমনকি কোনো কোনো প্রজাপতি রং দিয়েই শত্রুর হাত থেকে বাঁচার জন্য ছদ্মবেশ ধারণ করে। কিন্তু প্রজাপতিদের পাখার দুই পাশে কি একই রং? কখনো কোনো প্রজাপতি ধরে সেটা খেয়াল করে দেখেছ? যদি খেয়াল করো, দেখবে পাখার ওপরের পাখা ও নিচের পাশ কখনো একই রঙের হয় না। ওপরের পাশ হয় চকচকে এবং নিচের পাশ হয় ধূসর বা মলিন।
সব প্রজাপতিরই চারটি পাখা থাকে; কিন্তু তোমরা অনেকেই ছবি আঁকার সময় আঁকো দুটি পাখা। না না, তোমাদের একটুও দোষ নেই_দোষ তো ওই প্রজাপতিগুলোর। ওরা তো ওদের পেছনের পাতলা পাখা জোড়া সামনেরগুলোর সঙ্গে মিলিয়ে রাখে। রঙিন পাখা জোড়ায় তালি বাজিয়ে ওরা মনের আনন্দে উড়ে উড়ে সূর্য আর ফুলের সঙ্গে মিতালি গড়ে খেলা করে। ফুল থেকে ওরা মধু খায়, পানি খায় আর রোদ থেকে পায় চলার প্রেরণা ও সৌন্দর্য।
মাছের গায়ে যেমন আঁশ থাকে, প্রজাপতির পাখায়ও অমন শত-সহস্র আঁশ থাকে। তবে সেগুলো মাছের মতো শক্ত আর বড় নয়, রেশমের মতো কোমল আর ক্ষুদ্র। খালি চোখে সেসব আঁশের আকার-আকৃতি সহজে বোঝা যায় না। ইংরেজিতে এসব আঁশকে বলে স্কেল। প্রজাপতির রংরহস্যের মূলে রয়েছে এসব ক্ষদ্রাতিক্ষুদ্র আঁশ। এসব আঁশ মেলানিন নামে এক ধরনের পিগমেন্ট বা রঞ্জক পদার্থ দ্বারা রঞ্জিত থাকায় তা পাখায় কালো ও বাদামি রং সৃষ্টি করে। কিন্তু লাল, নীল, সবুজ, হলুদ_এসব রং আসে কোথা থেকে? এগুলো কিন্তু কোনো পিগমেন্ট দিয়ে হয় না। আঁশের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অংশই এসব রঙের সৃষ্টি করে থাকে। আঁশের মধ্যে এক ধরনের আলোক স্ফটিক বা ফোটোনিক ক্রিস্টাল প্রকৃতি আছে। তাই সূর্যের আলো আঁশে পড়ামাত্রই আঁশের মাইক্রোস্ট্রাকচারাল প্যাটার্নের অর্থাৎ ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিন্যাসের ওপর নির্ভর করে আলোকরশ্মির এক বর্ণিল বিচ্ছুরণ ঘটে। আর তার প্রভাবেই আমরা নানা প্রজাপতিকে দেখি নানা রঙে। এসব আঁশ এতো সূক্ষ্ম, হালকা ও আলগা যে তুমি প্রজাপতির পাখায় আঙুল ছোঁয়ালেই সেগুলো গুঁড়োর মতো তোমার আঙুলে লেগে যাবে। আর তাতে নষ্ট হয়ে যাবে প্রজাপতির রং ও সৌন্দর্য। হয়তো ওকে আর চেনাই যাবে না।
Source: Daily Kalerkantho

জীবন্ত শুকনো পাতার কথা

অপকারী নাকি পরোপকারী?

প্রজাপতি, ও প্রজাপতি

প্রজাপতি, ও প্রজাপতি প্রজাপতি কে না চেনে? কে না ভালোবাসে? ফুলে ফুলে যখন ঘুরে বেড়ায় তখন কী দারুণ লাগে! তবে প্রজাপতি কিন্তু এমনি এমনি ফুলে ফুলে ঘুরে বেড়ায় না। মধুর লোভে। প্রজাপতিও ফুল থেকে মধু পান করে। আর প্রজাপতি কিন্তু যখন-তখন দেখা পাওয়া যায় না। ঠাণ্ডায় প্রজাপতিরা উড়তেই পারে না। প্রজাপতির শরীরের তাপমাত্রা ৮৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের ওপর হলেই শুধু ওরা উড়তে পারে। এ জন্যই শীতের সময় এবং ঠাণ্ডার দিনে এদের দেখা পাওয়া যায় না।
বসন্তের শেষেই প্রজাপতির ডিম ফুটে ছানা বেরোয়। প্রজাপতির ছানাদের দেখে আবার ভয় পেয়ো না যেন, কারণ ওরা দেখতে তো আর প্রজাপতির মতো নয়! তেখতে অদ্ভুত এই ছানারাই একদিন বড় হয়ে সুন্দর প্রজাপতি হয়।
Source: Daily Kalerkantho

সপ্ত আশ্চর্য প্রজাপতি

সপ্ত আশ্চর্য প্রজাপতিঅবাক করা কিছু প্রজাপতিও আছে দুনিয়ায়। তেমনি সাতটা অবাক করা প্রজাপতির কথা। গ্লাসউইং বাটারফ্লাইগ্লাসউইং বাটারফ্লাই মানে কাচপাখার প্রজাপতি। তো নামেই যখন কাচপাখা এদের ডানা তো স্বচ্ছ হবেই। এদের শিরার কোষগুলো কাচের মতো স্বচ্ছ। এদের বিচরণ মধ্য আমেরিকা থেকে মেক্সিকো পর্যন্ত।নেগলেক্টেড এইটি-এইট বাটারফ্লাইনেগলেক্টেড এইটি-এইট বাটারফ্লাই মানে অবহেলিত ৮৮ প্রজাপতি। প্রজাপতিটাকে দেখো। এরপাখায় ইংরেজি এইটি-এইট আর বাংলায় ৪৪ দেখতে পাচ্ছ? ব্রাজিলের এই প্রজাপতিদের এ জন্যই এমন নাম।জায়ান্ট আউল বাটারফ্লাইআউল বাটারফ্লাই বা পেঁচা প্রজাপতি হিসেবেই এরা বিখ্যাত। আকারে একটু বড়রা দানব হিসেবে পরিচিত। এদের পাখার দিকে তাকিয়ে দেখো_মনে হচ্ছে না কোনো পেঁচা তোমার দিকে তাকিয়ে আছে? প্রায় ২০ প্রজাতির পেঁচা প্রজাপতির সন্ধান মিলেছে। মেক্সিকো, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার বৃষ্টিবহুল বনাঞ্চলে এদের ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়।এমারল্ড সোয়ালোটেইল বাটারফ্লাইগাঢ় সবুজ রঙের এই প্রজাপতির ডানার নিচে দুটো লেজ আছে, যেন লেজের ডগায় দুটো পান্না ঝুলে আছে। সে জন্যই এমন নাম। দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ায় এদের দেখা মেলে। এদের কিছু উপপ্রজাতির দেখা পাওয়া গেছে মিয়ানমার, বোর্নিও, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনে।জেব্রা লংউইং বাটারফ্লাইজেব্রার মতো ডোরাকাটা এই প্রজাপতিদের ডানায়। তবে সাদা-কালো নয়, হলুদ-কালো। আমেরিকার ফ্লোরিডায় এদের সন্ধান পাওয়া গেছে।হোয়াইট মরফো প্রজাপতিসাদা মরফো প্রজাপতিরা ঘোরাফেরা করে মেক্সিকো, মধ্য আমেরিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বীপগুলোতে। এদের ওপরের ও নিচের_সব অংশের পাখাই ধবধবে সাদা। তবে অল্প কিছু জায়গায় বাদামি দাগ আছে।পিকক পানসি বাটারফ্লাইএই প্রজাপতিদের দেখলে মনে হয় কোনো ময়ূর ডানা মেলেছে। এ জন্যই এমন নাম। এদের খোঁজ মিলেছে ভারতে।
Source: Daily Kalerkantho