Tuesday, January 4, 2011

টিএসসিতে রঙিন ডানার ওড়াউড়ি

টিএসসিতে রঙিন ডানার ওড়াউড়ি

স্টাফ রিপোর্টার, ২৩ এপ্রিল ২০১০
প্রজাপতি মানেই লাল, নীল, সবুজ, হলুদ, সোনালি, বেগুনি ইত্যাদি বহুবর্ণের ছটা— যার সৌন্দর্য শিল্পীর সৃষ্টিকেও হার মানায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে এখন চলছে নানা বর্ণের প্রজাপ্রতির ওড়াউড়ি। চত্বরে গেস্টরুমের সামনে নেট দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন অসংখ্য জীবন্ত প্রজাপতি। আর রুমের মধ্যে রয়েছে ৭ গোত্রের ১৮০ প্রজাতির প্রজাপতির আলোকচিত্র। দুয়ে মিলে প্রজাপ্রতির রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে টিএসসি চত্বর। এসব প্রজাপতির সৌন্দর্য দর্শনার্থীদের মধ্যে সৃষ্টি করছে দুর্নিবার কৌতূহল আর নির্মল আনন্দ। ইবিবিএল এবং পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন যৌথ উদ্যোগে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। আমাদের দেশে এ ধরনের আয়োজন এটাই প্রথম। গতকাল বিকালে পরিবেশমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রধান অতিথি হিসেবে এ প্রদর্শনীর শুভ উদ্বোধন করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. আআমস আরেফিন সিদ্দিক, প্রোভিসি অধ্যাপক হারুন অর রশীদ প্রমুখ। তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী চলবে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ডা. এম এ বাশারের তত্ত্বাবধানে প্রায় ২০ জন গবেষক ১৯৯৯ সাল থেকে দীর্ঘ ১১ বছর নিরলস পরিশ্রম করে দেশের প্রত্যন্ত বনাঞ্চল থেকে সংগ্রহ করেছেন বিভিন্ন প্রজাতির প্রজাপতির অসংখ্য আলোকচিত্র। তাদের সংগৃহীত সেসব আলোকচিত্র স্থান পেয়েছে প্রদর্শনীতে। প্রদর্শনীতে রয়েছে বার্ড উইং, নিমফালিড, লাইসানিড, প্যাপিলিওনিড, সেটাইরিড, হেসাপিরিড ইত্যাদি প্রজাতির প্রজাপতি। এর মধ্যে বার্ড উইয়ং বিশ্বের বৃহত্তম প্রজাতির প্রজাপতি, যার অস্তিত আমাদের দেশেও রয়েছে।
আমাদের দেশে রয়েছে প্রায় দুইশ’ প্রজাতির প্রজাপতি । প্রকৃতির দৃষ্টিনন্দন প্রাণী এই প্রজাপতি সৌন্দর্য এবং বর্ণিল রঙের বাহারে মানুষকে মুগ্ধ করে। এছাড়াও পরিবেশের জীববৈচিত্র্য অক্ষুণ্ন রাখা ও প্রাকৃতিক জৈব সম্পদ সংরক্ষণে এই প্রজাপতির গুরুত্ব অপরিসীম। অথচ শুধু কাব্য ছাড়া এই সুন্দর প্রাণীটির অস্তিত্ব আজ হুমকির মুখে। প্রজাপতির জন্য অনুকূল পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও আমাদের দেশে ভীষণভাবে কমে আসছে এর সংখ্যা— সংকুচিত হচ্ছে বিচরণ ক্ষেত্র। পৃথিবীর অনেক দেশেই বর্তমান সময়ে প্রজাপতির পার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। সেসব পার্কে প্রজাপতির জীবনযাত্রার অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে জীবন্ত অবস্থায় সংরক্ষণ করা হচ্ছে অসংখ্য প্রজাতির প্রজাপতি; যা দেখতে প্রতিনিয়ত ভিড় জমায় দেশ-বিদেশের হাজার হাজার দর্শনার্থী।
ভবা পাগলার সঙ্গীত সম্মেলন : গানই মোর সর্বশ্রেষ্ঠ সাধন- নিজের জীবনের অর্থ বলতে গিয়ে নিজের লেখা গানের মতো করেই বলেছিলেন বিশিষ্ট সাধক, কবি ও সঙ্গীত সাধক ভবা পাগলা।
সেই মহান সাধকের স্মৃতি স্মরণ করতেই বাংলাদেশ ভবা পাগলা স্মৃতি সংসদ আয়োজন করে ভবা পাগলা সঙ্গীত সম্মেলন। গতকাল বিকালে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মূল মিলনায়তনে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী এনামুল হক মোস্তফা শহীদ। বাংলাদেশ ভবা পাগলা স্মৃতি সংসদের সভাপতি আজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ভবা পাগলার জন্মস্থান মানিকগঞ্জের সংসদ সদস্য এসএম আবদুল মান্নান, ভবা পাগলার ভক্ত ও গবেষক আচার্য গোপাল ক্ষিত্রি, কাংসধর তরফদার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ভবা পাগলার জীবনাদর্শ নিয়ে আলোচনা করেন তার ভক্ত ও গবেষকরা। আলোচনায় প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন বিশিষ্ট সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব মুস্তাফা জামান আব্বাসী। আলোচকরা বলেন, ভবা সারাজীবন গান নিয়েই বেঁচে ছিলেন। তিনি তার কথাও গানে গানে বলতেন।
আলোচনা শেষে ভবা পাগলার লেখা ও সুরারোপিত সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায়, বিপুল ভট্টাচার্য, পান্না বিশ্বাস, বাবুল সূত্রধর, বিমান বিশ্বাস, হালিমা পারভীন প্রমুখ।
Source: Daily Amardesh

No comments:

Post a Comment