জীবন্ত শুকনো পাতার কথা বিপিন বিহারী বার্ষিক পরীক্ষার পর বেশ কয়েক দিন বন্ধ ছিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। সেই সুযোগে মায়িশা তার মাকে নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিল কাপ্তাই। তার বাবার কর্মস্থল ওখানে। বাসার চারদিকে গভীর বন আর খাড়া পাহাড়। ভারি সুন্দর সে জায়গা। বন, ছড়ায় ১০ দিন বেড়িয়ে ঢাকা ফেরে মায়িশা।
বেড়িয়ে এসেও ওর মনটা বেশ খারাপ। যত না খারাপ লাগে বাবার জন্য, তার চেয়ে বেশি খারাপ লাগছিল একটা জীবন্ত, শুকনো পাতার জন্য। বেশ ভাব হয়েছিল সেই শুকনো পাতার সঙ্গে। পাতাটা শুকনো অথচ জীবন্ত। এ কেমন কথা! যে পাতা শুকিয়ে যায় তার আবার জীবন থাকে কিভাবে? হাসতে হাসতে শ্রাবন্তী ঢলে পড়ে! শ্রাবন্তী ওর বড় বোন। পরক্ষণেই ধমক লাগায় মায়িশাকে। এমন বোকার মতো কথা বলবে না। মানুষ ভাববে তুমি একটা বোকা।
মায়িশা দুচোখ দিয়ে যা দেখেছে, যার সঙ্গে ভাব করেছে তা তো আর মিথ্যা হতে পারে না। একদিন তার ছোট ক্যামেরায় তোলা ছবিগুলো চুপি চুপি প্রিন্ট
করিয়ে আনে। বাসার সবাইকে বোকা বানাল ছবি দেখিয়ে।
ওকে ঢাকা নিয়ে আসার জন্য অনেক মিনতি করেছিল মায়িশা। কিন্তু 'পাতা প্রজাপতি' রাজি হয়নি।
১. বাসার পেছনে পাহাড়ি ছড়ায় ছোট-বড় পাথর। একটা পাথরের ওপর হাঁটছে একটা শুকনো পাতা। এমন শুকনো করমচা পাতা আশপাশে কতই না ছড়িয়ে আছে। এ কেমন পাতা, যার পা গজাল?
২. আস্তে আস্তে পাতাটা দুই ভাগ হতে লাগল। সে কী চমক!
৩. শুকনো পাতার ভেতর থেকে বের হয়ে আসতে লাগল বাহারি রঙের দুটো ডানা।
৪. অবশেষে মায়িশার চোখের সামনে বেরিয়ে এল এক অনিন্দ্যসুন্দরী পাহাড়ি পাতা প্রজাপতি।
মায়িশার ক্যামেরায় তোলা এই প্রজাপতিগুলো হলো ডেড লিফ বাটারফ্লাই বা মরাপাতা প্রজাপতি। তবে সব সময় শুকনো পাতার মতো বাদামি হয় না এদের পাখার রং। সবুজও হতে পারে। এ প্রজাপতি পাওয়া যায় নিউ গায়ানা, দক্ষিণ এশিয়া ও মাদাগাস্কারে।
Source: Daily Kalerkantho
No comments:
Post a Comment